ঢাকা ০৯:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শান্তিগঞ্জে ইউএনও’র পরিকল্পনায় প্রাথমিক শিক্ষায় নতুন মাইলফলক

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৬:৩০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
  • ৯ পড়া হয়েছে
১৫

সুনামগঞ্জ , শান্তিগঞ্জ::

শান্তিগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে নেয়া হলো এক সাহসী ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুকান্ত সাহার প্রত্যক্ষ পরিকল্পনায় উপজেলার ৯৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বেসিক নলেজ পরীক্ষা’।

 

 

 

এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মৌলিক জ্ঞান যাচাই করে, দুর্বলতা চিহ্নিত করে, প্রয়োজনীয় পাঠ পরিকল্পনা গড়ে তোলার একটি সুসংগঠিত ও সময়োপযোগী কাঠামো তৈরি হলো। এর মাধ্যমে শিক্ষার ভিতে যেভাবে সরাসরি হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে, তেমন উদ্যোগ এর আগে উপজেলায় দেখা যায়নি বলে মত প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

 

 

সোমবার (২ জুন ) দুপুর ১২টা থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত স্বস্ব বিদ্যালয়ে পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত  সাধারণ জ্ঞান এবং মৌখিক বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নেয় চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির মোট ৪২৮৭ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার ৮১.৭% শতাংশ এবং পঞ্চম শ্রেণির ৮৫.৮৭ শতাংশ। সব স্কুলে একযোগে প্রশ্নপত্র ও সময় নির্ধারণ করা হয়, যাতে একটি স্ট্যান্ডার্ড ও স্বচ্ছ মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা যায়। এরপর এই ফলাফলের মানের ভিত্তিতেই শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও শ্রেষ্ঠ স্কুল নির্বাচন করা হবে৷

 

 

 

শিক্ষক ও অভিভাবকরাও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, এই ধরনের সৃজনশীল ও ফলমুখী মূল্যায়ন পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের শেখার প্রতি আগ্রহ ও আত্মবিশ্বাস দুটোই বাড়াবে। সার্বিকভাবে, শান্তিগঞ্জে এই ‘বেসিক নলেজ পরীক্ষা’ হয়ে উঠেছে শিক্ষায় গুণগত পরিবর্তনের একটি উদাহরণ।

 

 

 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম খান বলেন, ইউএনও স্যারের উদ্যোগে শান্তিগঞ্জের ৯৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই মূল্যায়ন পরীক্ষা একসঙ্গে আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শেখার অগ্রগতি বোঝা এবং শিক্ষকদের পঠনপাঠনে দিক নির্দেশনা তৈরির জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

 

 

এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা বলেন, আমাদের লক্ষ্য খুবই পরিষ্কার। প্রাথমিক স্তর থেকেই শিশুর প্রকৃত শেখার মান যাচাই করতে হবে। কারা পিছিয়ে আছে, কেন পিছিয়ে আছে সেসব জানতে না পারলে কোনো পদক্ষেপ কার্যকর হবে না। এই পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে আমরা সুনির্দিষ্ট পাঠ পরিকল্পনার মাধ্যমে দুর্বল শিক্ষার্থীদের সহায়তা করব।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন দিবস উদযাপিত: সমন্বিত পুনর্বাসনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা

Follow for More!

শান্তিগঞ্জে ইউএনও’র পরিকল্পনায় প্রাথমিক শিক্ষায় নতুন মাইলফলক

প্রকাশিত: ০৬:৩০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
১৫

সুনামগঞ্জ , শান্তিগঞ্জ::

শান্তিগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে নেয়া হলো এক সাহসী ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুকান্ত সাহার প্রত্যক্ষ পরিকল্পনায় উপজেলার ৯৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বেসিক নলেজ পরীক্ষা’।

 

 

 

এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মৌলিক জ্ঞান যাচাই করে, দুর্বলতা চিহ্নিত করে, প্রয়োজনীয় পাঠ পরিকল্পনা গড়ে তোলার একটি সুসংগঠিত ও সময়োপযোগী কাঠামো তৈরি হলো। এর মাধ্যমে শিক্ষার ভিতে যেভাবে সরাসরি হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে, তেমন উদ্যোগ এর আগে উপজেলায় দেখা যায়নি বলে মত প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

 

 

সোমবার (২ জুন ) দুপুর ১২টা থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত স্বস্ব বিদ্যালয়ে পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত  সাধারণ জ্ঞান এবং মৌখিক বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নেয় চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির মোট ৪২৮৭ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার ৮১.৭% শতাংশ এবং পঞ্চম শ্রেণির ৮৫.৮৭ শতাংশ। সব স্কুলে একযোগে প্রশ্নপত্র ও সময় নির্ধারণ করা হয়, যাতে একটি স্ট্যান্ডার্ড ও স্বচ্ছ মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা যায়। এরপর এই ফলাফলের মানের ভিত্তিতেই শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও শ্রেষ্ঠ স্কুল নির্বাচন করা হবে৷

 

 

 

শিক্ষক ও অভিভাবকরাও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, এই ধরনের সৃজনশীল ও ফলমুখী মূল্যায়ন পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের শেখার প্রতি আগ্রহ ও আত্মবিশ্বাস দুটোই বাড়াবে। সার্বিকভাবে, শান্তিগঞ্জে এই ‘বেসিক নলেজ পরীক্ষা’ হয়ে উঠেছে শিক্ষায় গুণগত পরিবর্তনের একটি উদাহরণ।

 

 

 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম খান বলেন, ইউএনও স্যারের উদ্যোগে শান্তিগঞ্জের ৯৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই মূল্যায়ন পরীক্ষা একসঙ্গে আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শেখার অগ্রগতি বোঝা এবং শিক্ষকদের পঠনপাঠনে দিক নির্দেশনা তৈরির জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

 

 

এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা বলেন, আমাদের লক্ষ্য খুবই পরিষ্কার। প্রাথমিক স্তর থেকেই শিশুর প্রকৃত শেখার মান যাচাই করতে হবে। কারা পিছিয়ে আছে, কেন পিছিয়ে আছে সেসব জানতে না পারলে কোনো পদক্ষেপ কার্যকর হবে না। এই পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে আমরা সুনির্দিষ্ট পাঠ পরিকল্পনার মাধ্যমে দুর্বল শিক্ষার্থীদের সহায়তা করব।