ঢাকা ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হরিপুর টু ধোপাগুল রাস্তার জৈন্তাপুর অংশের বেহাল অবস্থা ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ 

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ১০:০১:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
  • ২০ পড়া হয়েছে

Oplus_131072

১৭

জৈন্তাপুর – সিলেট প্রতিনিধি:: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ৫ নং ফতেহপুর ইউনিয়নের হরিপুর বুদারঘাট থেকে বাগেরখাল পর্যন্ত প্রায় তিন কিমি: রাস্তার বেহাল অবস্থা। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজারো মানুষকে।

 

এই সড়কটি শুধুমাত্র জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাটের মানুষের চলাচল নয়, বরং এটি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পর্যটকদেরও চলাচলের অন্যতম রাস্তা । কারণ, এই রাস্তাই সরাসরি সংযুক্ত করেছে রাতারগুল, বিছনাকান্দি এর মতো জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে। এছাড়াও জৈন্তাপুরের বাসিন্দারা ওসমানী এয়ারপোর্ট সিলটে শহরে যাওয়ার জন্য এই রাস্তা টি ব্যবহার করেন।

 

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার টি না হওয়ায় ভোগান্তিতে পরেছে কয়েক হাজার মানুষ ও বিভিন্ন স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ ব্যবসায়ীরা। রাস্তাটিতে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে শত শত যানবাহন।

 

রাস্তার পাশেই বসবাসকারী বৃদ্ধ আছমা বেগম জানান,“হাসপাতালে যাওয়ার জন্য রিকশা ডাকতে গিয়ে দেখি গর্তে পানি। গর্তে পা পিছলে পড়ে যাই। এখন মানুষ রাস্তায় হাঁটতেই ভয় পায়। টমটম চালক উসমান আলী বলেন, “প্রতিদিন গাড়ি চালাই, কিন্তু এই গর্তে কখন গাড়ি উল্টে যায় ঠিক নাই। যাত্রী নামিয়ে ঠেলে গাড়ি বের করতে হয়।

 

আরেক চালক আমির উদ্দিন জানান এই রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে লাভের টাকা দিয়ে গাড়ি মেরামত করতে হয়। তবুও চালাতে হয়, পেট তো মানে না।

স্থানীয়দের মতে, রাস্তার দুন পাশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষাকালে রাস্তা একেবারে পানিতে ডুবে যায়। তখন গর্ত বোঝা যায় না, ফলে অনেকেই পড়ে গিয়ে আহত হন। একাধিকবার স্কুলছাত্র-ছাত্রীরা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বলেও জানা গেছে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, “এই রাস্তায় যেন কষ্ট জমে আছে আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই । অনেকদিন থেকে রাস্তাটি পুরোপুরি সংস্কার না করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার কিছু অংশ একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। আমরা আর আশ্বাস চাই না, বাস্তব পদক্ষেপ চাই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।

 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ৫নং ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রফিক আহমদ বলেন,“রাস্তাটি এলজিইডির আওতাধীন। আমরা ইতোমধ্যে বিষয়টি তাদের জানিয়েছি। আশা করি দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু হবে।

 

এ প্রসঙ্গে জৈন্তাপুরের এলজিইডি প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, সড়কটি আপগ্রেডিং প্রকল্পে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা বর্তমানে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অনুমোদন পেলে জুলাই মাসে কাজ শুরু হতে পারে। তবে আপাতত কোনো অস্থায়ী সংস্কারের পরিকল্পনা নেই।”

তবে এলাকাবাসীর প্রশ্ন “ততদিন কি পথচারীদের এই দুর্ভোগই সঙ্গী থাকবে?

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকার তিনটি আসনে ‘বিশেষ বরাদ্দ: যা জানালেন উপদেষ্টা

Follow for More!

হরিপুর টু ধোপাগুল রাস্তার জৈন্তাপুর অংশের বেহাল অবস্থা ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ 

প্রকাশিত: ১০:০১:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
১৭

জৈন্তাপুর – সিলেট প্রতিনিধি:: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ৫ নং ফতেহপুর ইউনিয়নের হরিপুর বুদারঘাট থেকে বাগেরখাল পর্যন্ত প্রায় তিন কিমি: রাস্তার বেহাল অবস্থা। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজারো মানুষকে।

 

এই সড়কটি শুধুমাত্র জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাটের মানুষের চলাচল নয়, বরং এটি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পর্যটকদেরও চলাচলের অন্যতম রাস্তা । কারণ, এই রাস্তাই সরাসরি সংযুক্ত করেছে রাতারগুল, বিছনাকান্দি এর মতো জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে। এছাড়াও জৈন্তাপুরের বাসিন্দারা ওসমানী এয়ারপোর্ট সিলটে শহরে যাওয়ার জন্য এই রাস্তা টি ব্যবহার করেন।

 

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার টি না হওয়ায় ভোগান্তিতে পরেছে কয়েক হাজার মানুষ ও বিভিন্ন স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ ব্যবসায়ীরা। রাস্তাটিতে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে শত শত যানবাহন।

 

রাস্তার পাশেই বসবাসকারী বৃদ্ধ আছমা বেগম জানান,“হাসপাতালে যাওয়ার জন্য রিকশা ডাকতে গিয়ে দেখি গর্তে পানি। গর্তে পা পিছলে পড়ে যাই। এখন মানুষ রাস্তায় হাঁটতেই ভয় পায়। টমটম চালক উসমান আলী বলেন, “প্রতিদিন গাড়ি চালাই, কিন্তু এই গর্তে কখন গাড়ি উল্টে যায় ঠিক নাই। যাত্রী নামিয়ে ঠেলে গাড়ি বের করতে হয়।

 

আরেক চালক আমির উদ্দিন জানান এই রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে লাভের টাকা দিয়ে গাড়ি মেরামত করতে হয়। তবুও চালাতে হয়, পেট তো মানে না।

স্থানীয়দের মতে, রাস্তার দুন পাশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষাকালে রাস্তা একেবারে পানিতে ডুবে যায়। তখন গর্ত বোঝা যায় না, ফলে অনেকেই পড়ে গিয়ে আহত হন। একাধিকবার স্কুলছাত্র-ছাত্রীরা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বলেও জানা গেছে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, “এই রাস্তায় যেন কষ্ট জমে আছে আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই । অনেকদিন থেকে রাস্তাটি পুরোপুরি সংস্কার না করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার কিছু অংশ একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। আমরা আর আশ্বাস চাই না, বাস্তব পদক্ষেপ চাই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।

 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ৫নং ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রফিক আহমদ বলেন,“রাস্তাটি এলজিইডির আওতাধীন। আমরা ইতোমধ্যে বিষয়টি তাদের জানিয়েছি। আশা করি দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু হবে।

 

এ প্রসঙ্গে জৈন্তাপুরের এলজিইডি প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, সড়কটি আপগ্রেডিং প্রকল্পে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা বর্তমানে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অনুমোদন পেলে জুলাই মাসে কাজ শুরু হতে পারে। তবে আপাতত কোনো অস্থায়ী সংস্কারের পরিকল্পনা নেই।”

তবে এলাকাবাসীর প্রশ্ন “ততদিন কি পথচারীদের এই দুর্ভোগই সঙ্গী থাকবে?