ঢাকা ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গনহত্যার প্রতিবাদে বড়লেখায় বিক্ষোভ মিছিল

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৪:৩৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭ পড়া হয়েছে
১৪

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের চলমান গণহত্যা, বর্বরোচিত হামলা ও দখলদারত্বের প্রতিবাদ এবং ‘ওয়ার স্টপ ফর গাজা’র প্রতি সমর্থনে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের উদ্যোগে উত্তাল হয়ে উঠেছে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা।

 

সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকাল সোয়া ৫ টায় জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে ফিলিস্তিনের মুক্তি ও ইসরায়েলের ধ্বংস কামনা করা হয়৷ একই সঙ্গে ফিলিস্তিনের পাশে সব মুসলিম রাষ্ট্রকে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়। এছাড়াও একই দিনে দুপুর ২ টায় খেলাফত মজলিস ও আনজুমানে তালামিযে ইসলামিয়া পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে করেছে। এদিকে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনসাধারণকে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিতে দেখা গেছে।

 

বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে নেতাকর্মী এবং ছাত্র-জনতা ইসরায়েলি পণ্য বয়কট ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে সবাইকে এক হয়ে লড়াইয়ের আহ্বান জানান। এছাড়া, মুসলিম বিশ্বের শাসকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানান তারা।

 

এ সময় তারা- মার্কিনদের দালালেরা!

ইসরায়েলের দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান!

নেতানিয়াহুর গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে! আল আকসার আহবান, ঘুমিয়ো না মুসলিম!

জেগে ওঠো মুসলমান, আল আকসা ডেকে যায়! ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, বয়কট বয়কট, ইসরাইল বয়কট, ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘সাবিলুনা সাবিলুনা, আল জিহাদ আল জিহাদ’, নেতানিয়াহু/ট্রাম্পের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’- ইত্যাদি স্লোগানে বড়লেখাকে মাতিয়ে তুলেন।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর ২ টায় খেলাফত মজলিসের উপজেলা সভাপতি মাওলানা এনামুল হক ও অপরদিকে আঞ্জুমানে তালামিযে ইসলামিয়া’র উপজেলা সভাপতি মো. রুবেল আহমদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ব্যানার নিয়ে বড়লেখা পৌর শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও স্টেশন রোডে জড়ো হয়ে তারা পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

 

এছাড়াও বিকেল ৪ টা থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হতে থাকেন এবং বিক্ষোভ মিছিলের নির্ধারিত সময়ের আগে লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। বিকেল সোয়া ৫ টায় জামায়াতের উপজেলা আমির এমাদুল ইসলামের নেতৃত্বে স্থানীয় কার্যালয় থেকে উত্তর চৌমুহনী হয়ে প্রদান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইসলামী ব্যাংকের সম্মূখে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে উপজেলার দক্ষিণভাগে বিকেল সাড়ে ৫ টায় তাওহীদি জনতার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের খবর পাওয়া গেছে।

 

এসময় বিক্ষোভকারিরা বলেন, ফিলিস্তিনের গাজাকে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। সেখানে বোমার সঙ্গে মানুষ উড়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবনের কোনো অস্তিস্ব সেখানে নেই। নির্বিচারে গণহত্যা চালানো হচ্ছে। সেখানে মানবতা ও মানবাধিকার বলে কিছু অবশিষ্ট নেই। আমরা অতি দ্রুত ফিলিস্তিনের পক্ষে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সব মুসলিম বিশ্বের শাসকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।

হাজার হাজার মানুষের এ মিছিলের কারণে পৌর শহরে যান চলাচল কিছুটা ব্যাঘাত ঘটলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক ছিলো। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই বিক্ষোভকারীরা প্রশাসনের সহযোগিতায় শান্তি পূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রযুক্তির বাইরে নৈতিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে- ডা. শামীমুর রহমান

Follow for More!

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গনহত্যার প্রতিবাদে বড়লেখায় বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশিত: ০৪:৩৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
১৪

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের চলমান গণহত্যা, বর্বরোচিত হামলা ও দখলদারত্বের প্রতিবাদ এবং ‘ওয়ার স্টপ ফর গাজা’র প্রতি সমর্থনে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের উদ্যোগে উত্তাল হয়ে উঠেছে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা।

 

সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকাল সোয়া ৫ টায় জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে ফিলিস্তিনের মুক্তি ও ইসরায়েলের ধ্বংস কামনা করা হয়৷ একই সঙ্গে ফিলিস্তিনের পাশে সব মুসলিম রাষ্ট্রকে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়। এছাড়াও একই দিনে দুপুর ২ টায় খেলাফত মজলিস ও আনজুমানে তালামিযে ইসলামিয়া পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে করেছে। এদিকে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনসাধারণকে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিতে দেখা গেছে।

 

বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে নেতাকর্মী এবং ছাত্র-জনতা ইসরায়েলি পণ্য বয়কট ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে সবাইকে এক হয়ে লড়াইয়ের আহ্বান জানান। এছাড়া, মুসলিম বিশ্বের শাসকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানান তারা।

 

এ সময় তারা- মার্কিনদের দালালেরা!

ইসরায়েলের দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান!

নেতানিয়াহুর গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে! আল আকসার আহবান, ঘুমিয়ো না মুসলিম!

জেগে ওঠো মুসলমান, আল আকসা ডেকে যায়! ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, বয়কট বয়কট, ইসরাইল বয়কট, ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘সাবিলুনা সাবিলুনা, আল জিহাদ আল জিহাদ’, নেতানিয়াহু/ট্রাম্পের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’- ইত্যাদি স্লোগানে বড়লেখাকে মাতিয়ে তুলেন।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর ২ টায় খেলাফত মজলিসের উপজেলা সভাপতি মাওলানা এনামুল হক ও অপরদিকে আঞ্জুমানে তালামিযে ইসলামিয়া’র উপজেলা সভাপতি মো. রুবেল আহমদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ব্যানার নিয়ে বড়লেখা পৌর শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও স্টেশন রোডে জড়ো হয়ে তারা পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

 

এছাড়াও বিকেল ৪ টা থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হতে থাকেন এবং বিক্ষোভ মিছিলের নির্ধারিত সময়ের আগে লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। বিকেল সোয়া ৫ টায় জামায়াতের উপজেলা আমির এমাদুল ইসলামের নেতৃত্বে স্থানীয় কার্যালয় থেকে উত্তর চৌমুহনী হয়ে প্রদান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইসলামী ব্যাংকের সম্মূখে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে উপজেলার দক্ষিণভাগে বিকেল সাড়ে ৫ টায় তাওহীদি জনতার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের খবর পাওয়া গেছে।

 

এসময় বিক্ষোভকারিরা বলেন, ফিলিস্তিনের গাজাকে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। সেখানে বোমার সঙ্গে মানুষ উড়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবনের কোনো অস্তিস্ব সেখানে নেই। নির্বিচারে গণহত্যা চালানো হচ্ছে। সেখানে মানবতা ও মানবাধিকার বলে কিছু অবশিষ্ট নেই। আমরা অতি দ্রুত ফিলিস্তিনের পক্ষে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সব মুসলিম বিশ্বের শাসকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।

হাজার হাজার মানুষের এ মিছিলের কারণে পৌর শহরে যান চলাচল কিছুটা ব্যাঘাত ঘটলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক ছিলো। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই বিক্ষোভকারীরা প্রশাসনের সহযোগিতায় শান্তি পূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেন।