ঢাকা ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক: ফের আলোচনায় আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৪:৩০:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৮ পড়া হয়েছে
১৪

অনলাইন ডেস্ক :: শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী  বিকেল ৩টা থেকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শুরু হচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক। এই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বক্তব্য দেবেন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, যা অন্তর্বর্তী সরকারের একটি উদ্যোগ, রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐকমত্য তৈরি করতে কাজ করছে।

 

বিএনপি, নাগরিক ঐক্য, এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা আজকের বৈঠকে অংশ নেবেন। বিএনপি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি দল অংশগ্রহণ করবে। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীও বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে, সরকারের গঠন করা ছয়টি সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হবে এবং রাজনৈতিক দলের মতামত নেয়া হবে। এর মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন এবং রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে।

 

 

 

এদিকে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিটি আবারও দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। গত ছয় মাস ধরে এই দাবি উঠেছে এবং সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এই দাবি পুনরায় তোলেন। তাঁদের মতে, যদি আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল না করা হয়, তবে এটি দেশের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে এবং দেশের সামনে গভীর সংকট তৈরি হবে, এমনকি গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া হতে পারে।

 

জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী দাবি করেছেন, “নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল না হলে এটি দেশের জন্য বিপজ্জনক হবে। বাংলাদেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া হতে পারে।” বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ৫ ফেব্রুয়ারির পর আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে হামলার ঘটনার পর এই দাবিকে আরও জোরালো করেছেন। গাজীপুরের হামলায় একজন তরুণের মৃত্যুর পর আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি গণহত্যার বিচারও দাবি করেছেন।

 

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সমীচীন হবে না, তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে, দলের নেতারা তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী। বিএনপি শুরু থেকেই দাবি করছে যে, এই সিদ্ধান্ত জনগণকেই নিতে হবে।

 

প্রধান উপদেষ্টা শফিকুল আলম গত জানুয়ারিতে বলেছিলেন যে, “আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে হলে তাদের গণহত্যার বিচারের মুখোমুখি হতে হবে এবং ক্ষমা চাইতে হবে।”

 

এভাবে এই আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এবং তা ভবিষ্যতের দিকে নতুন পরিণতি আনতে পারে।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেটে বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্য’র আদি নববর্ষ উদযাপন

Follow for More!

রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক: ফের আলোচনায় আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি

প্রকাশিত: ০৪:৩০:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১৪

অনলাইন ডেস্ক :: শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী  বিকেল ৩টা থেকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শুরু হচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক। এই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বক্তব্য দেবেন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, যা অন্তর্বর্তী সরকারের একটি উদ্যোগ, রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐকমত্য তৈরি করতে কাজ করছে।

 

বিএনপি, নাগরিক ঐক্য, এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা আজকের বৈঠকে অংশ নেবেন। বিএনপি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি দল অংশগ্রহণ করবে। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীও বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে, সরকারের গঠন করা ছয়টি সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হবে এবং রাজনৈতিক দলের মতামত নেয়া হবে। এর মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন এবং রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে।

 

 

 

এদিকে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিটি আবারও দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। গত ছয় মাস ধরে এই দাবি উঠেছে এবং সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এই দাবি পুনরায় তোলেন। তাঁদের মতে, যদি আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল না করা হয়, তবে এটি দেশের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে এবং দেশের সামনে গভীর সংকট তৈরি হবে, এমনকি গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া হতে পারে।

 

জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী দাবি করেছেন, “নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল না হলে এটি দেশের জন্য বিপজ্জনক হবে। বাংলাদেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া হতে পারে।” বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ৫ ফেব্রুয়ারির পর আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে হামলার ঘটনার পর এই দাবিকে আরও জোরালো করেছেন। গাজীপুরের হামলায় একজন তরুণের মৃত্যুর পর আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি গণহত্যার বিচারও দাবি করেছেন।

 

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সমীচীন হবে না, তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে, দলের নেতারা তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী। বিএনপি শুরু থেকেই দাবি করছে যে, এই সিদ্ধান্ত জনগণকেই নিতে হবে।

 

প্রধান উপদেষ্টা শফিকুল আলম গত জানুয়ারিতে বলেছিলেন যে, “আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে হলে তাদের গণহত্যার বিচারের মুখোমুখি হতে হবে এবং ক্ষমা চাইতে হবে।”

 

এভাবে এই আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এবং তা ভবিষ্যতের দিকে নতুন পরিণতি আনতে পারে।