, বালাগঞ্জ :

মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এমএজি ওসমানীর একান্ত সচিব,মুক্তি যোদ্ধের অন্যতম সংগঠক, দেওয়ান আব্দুর রহিম হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাক্তন শিক্ষক বিশিষ্ট আইনজীবী প্রবাসী কমিউনিটি নেতা এডভোকেট শাহনূর চৌধুরীর সম্মানে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এক বর্ণাঢ্য স্মারক প্রকাশনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

শিক্ষার প্রসার এবং সমাজসেবায় শাহনূর চৌধুরীর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে 'বালাগঞ্জের গহরপুর আব্দুল মতিন মহিলা একাডেমিতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের

আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষাবিদ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।

অনুষ্ঠানে শাহনূর চৌধুরীর জীবন ও কর্ম নিয়ে,

লেখক,কবি ও সাংবাদিক মুহাম্মাদ শরীফুজ্জামানের সম্পাদনায় প্রকাশিত “আলোর সারথি” নামে স্মারকের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মোড়ক উন্মোচন করেন-নর্থইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সিনিয়র সাংবাদিক লিয়াকত শাহ ফরিদী।আব্দুল মতিন মহিলা একাডেমির প্রধান শিক্ষক মো. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে লিয়াকত শাহ ফরিদীর বলেন, শাহনূর চৌধুরী একজন বর্ষীয়ান ব্যক্তিত্ব, যিনি তাঁর কর্মগুণে আলোর দিশা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তিনি আলোর সম্প্রসারণের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করে যাচ্ছেন।নিজের জীবনযাত্রা ও চিন্তাধারা দিয়ে আমাদের সবার জন্য একটি পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করছেন।

তাঁর অসীম পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাস আমাদেরকে এক নতুন শক্তি এবং প্রেরণা দেয়। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন ইচ্ছাশক্তি এবং কঠোর পরিশ্রমের সাথে এগিয়ে যান, তবে সুন্দর পৃথিবী আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। ভবিষ্যতে আপনারা শাহনূর চৌধুরীর মতোই সমাজে আলো ছড়িয়ে দিতে পারবেন। নিজেদের দক্ষতা ও শিক্ষা অর্জন শুধু ব্যক্তিগত উন্নতির জন্য নয় বরং সমাজ ও জাতির কল্যাণের জন্য কাজে লাগাতে হবে। শুধু ভাল ছাত্র হওয়া নয়, ভালো মানুষ হওয়াও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার মাধ্যমে যে আলো সৃষ্টি হবে, সেটিই হবে সমাজের প্রকৃত পরিবর্তন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন গোয়ালাবাজার সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মুকিত আজাদ। তিনি বলেন, আমাদের এলাকার কৃতি সন্তান শাহনূর চৌধুরী আমাদের গর্ব। তাঁর প্রতি সম্মান জানাতে আমি নিজ কলেজে অনুষ্ঠান থেকে এখানে এসেছি।বিশেষ অতিথি সিলেট মইন উদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবিদুর রহমান তিনির বক্তব্যে বলেন, এডভোকেট শাহনূর চৌধুরীর মতো ব্যক্তিত্ব সমাজে গর্বের প্রতীক। তাঁর অবদান তরুণ প্রজন্মের মানসিকতা ও নৈতিকতা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

রাগীব রাবেয়া ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক কবি খালেদ উদ্দীন বলেন, যে সকল মানুষ আমাদের সমাজকে আলোকিত করেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম শাহনূর চৌধুরী। তিনি জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগিয়ে সমাজে আলোর বিস্তার ঘটিয়েছেন। তিনি বহু প্রতিভার অধিকারী, তবে প্রকাশিত এই আলোর সারথি স্মারকে তাঁর অবদানের এক ক্ষুদ্র অংশ প্রকাশ পেয়েছে সবকিছু প্রকাশ অসম্ভব। তিনি প্রকাশনায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করেন।

অনুষ্ঠান শাহনূর চৌধুরী উপস্থিত সকল অতিথি ও অংশগ্রহণকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিস্টা ও উন্নয়ন অগ্র যাত্রায় নিজেকে শামিল করা সকলের দায়িত্ব। আমি সমাজের জন্য ভাল কিছু করার সাধ ছিল সাধ্যের সম্মিলন ঘটাতে পারিনি। নিজের দায়বদ্ধতা থেকে সমাজের জন্য যা কিছু করতে পেরেছি তা মহান আল্লাহ পাকের কৃপা যা পারিনি তা আমার ব্যার্থতা। তিনি শান্তি শৃঙ্খলাবদ্ধ সমাজ প্রতিষ্টায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে সকলের প্রতি আহবান জানান। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বক্তব্য রাখেন, নর্থইস্ট বালাগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ মো. রাসেল মিয়া, বড়জমাত ছমিরুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বুলবুল আহমদ। অনুষ্ঠানে শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন গহরপুর আব্দুল মতিন মহিলা একাডেমির শিক্ষার্থী তাজকিয়া জান্নাত ইকরা।

অনুষ্টানের দ্বিতীয় পর্বে গহরপুর আব্দুল মতিন মহিলা একাডেমির ১০ জন এবং বড়জমাত ছমিরুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে শাহনূর চৌধুরী শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।