ঢাকা ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বপদে বহাল থাকতে প্রধান উপদেষ্ঠা বরাবরে বিশ্বনাথের ৮টি ইউপি চেয়ারম্যানের স্মারকলিপি

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৫:১৯:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • ১১ পড়া হয়েছে
১৯

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি:

ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ না করে মেয়াদ পর্যন্ত বহাল রাখার দাবিতে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্ঠা ড. অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুছ বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন সিলেটের বিশ্বনাথের ৮ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনন্দা রায়ের মাধ্যমে চেয়ারম্যানরা ওই স্মারকলিপি প্রধান করেন।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া, দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল আহমদ মতছিন, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. দয়াল উদ্দিন তালুকদার, খাজাঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ আলী গণি, দৌলতপুর ইউনিয়র পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজ মো. আরব খান, দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন খান।

স্মারকলিপিতে প্রকাশ: রাষ্ট্রের নাররিক সেবায় প্রান্তিক ও সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘ইউনিয়ন পরিষদ’। এখানে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, উত্তরাধিকারী সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, একাধিক নামে ডাকা একই ব্যক্তির প্রত্যয়নপত্র, চারিত্রিক সনদ, নাগরিক সনদ, পূর্বে জাতীয় সনদ পত্র করেন নাই মর্মে প্রত্যয়ন পত্র, অবিবাহিত সনদ ও অভিভাবক সম্মতিপত্রসহ বহু ধরনের নাগরিক সেবা চেয়ারম্যান-মেম্বার দ্বারা দ্রæততম সময়ে প্রদান হয়ে থাকে। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সরাসরি কাজ করে জনপ্রতিনিধিরা। এছাড়া গ্রাম আদালত পরিচালনাসহ ঝগড়া বিরোধ নিরসনের মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বয়স্ক, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা, মা ও শিশু সুরক্ষা ভাতা, ই.ড.ই ইপকারভোগী নির্বাচন খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি নিশ্চিত করণ ভিজিএফ, ও জি, আর চাল, কৃষি উন্নয়নে প্রকৃত কৃষককে প্রণোদনার উপকারভোগী নির্বাচন করা এবং শীতবস্ত্র বিতরণসহ সময়ে সময়ে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত যে কোন নাগরিক সেবা/সুবিধা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা দিনরাত অক্লান্ত কাজ করে থাকেন। এসব কেবল তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি বলেই সম্বব।

স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, সম্প্রতি সরকার ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ করবে মর্মে বিভিন্ন খবর প্রচারে নাগরিকদের উদ্বিগ্নতা বাড়ছে। সাধারণ মানুষ মনে করে ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দিলে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত সকল প্রকার নাগরিক সেবার মান মুখ থুবড়ে পড়বে। শান্তি শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা সর্বদা সরকারের নির্দেশ নির্দেশনা মেনে সরকারের সহযোগি হিসেবে কাজ করার জন্য বদ্বপরিকর। ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা স্ব-স্ব অবস্থান থেকে বৈষম্যবিরোধী ও মেধা ভিত্তিক গণতান্ত্রিক মানবিক রাষ্ট্রগঠনে সরকারের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। সকল জনপ্রতিনিধি কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে স্বীয় দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন সেই সকল জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করাকে সাধুবাই জানাই। স্বারখলিপিতে চেয়ারম্যান -মেম্বাররা অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্ঠার কাছে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদ পর্যন্ত বহার রাখার দাবি জানিয়েছেন।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

Follow for More!

স্বপদে বহাল থাকতে প্রধান উপদেষ্ঠা বরাবরে বিশ্বনাথের ৮টি ইউপি চেয়ারম্যানের স্মারকলিপি

প্রকাশিত: ০৫:১৯:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
১৯

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি:

ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ না করে মেয়াদ পর্যন্ত বহাল রাখার দাবিতে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্ঠা ড. অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুছ বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন সিলেটের বিশ্বনাথের ৮ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনন্দা রায়ের মাধ্যমে চেয়ারম্যানরা ওই স্মারকলিপি প্রধান করেন।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া, দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল আহমদ মতছিন, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. দয়াল উদ্দিন তালুকদার, খাজাঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ আলী গণি, দৌলতপুর ইউনিয়র পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজ মো. আরব খান, দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন খান।

স্মারকলিপিতে প্রকাশ: রাষ্ট্রের নাররিক সেবায় প্রান্তিক ও সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘ইউনিয়ন পরিষদ’। এখানে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, উত্তরাধিকারী সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, একাধিক নামে ডাকা একই ব্যক্তির প্রত্যয়নপত্র, চারিত্রিক সনদ, নাগরিক সনদ, পূর্বে জাতীয় সনদ পত্র করেন নাই মর্মে প্রত্যয়ন পত্র, অবিবাহিত সনদ ও অভিভাবক সম্মতিপত্রসহ বহু ধরনের নাগরিক সেবা চেয়ারম্যান-মেম্বার দ্বারা দ্রæততম সময়ে প্রদান হয়ে থাকে। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সরাসরি কাজ করে জনপ্রতিনিধিরা। এছাড়া গ্রাম আদালত পরিচালনাসহ ঝগড়া বিরোধ নিরসনের মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বয়স্ক, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা, মা ও শিশু সুরক্ষা ভাতা, ই.ড.ই ইপকারভোগী নির্বাচন খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি নিশ্চিত করণ ভিজিএফ, ও জি, আর চাল, কৃষি উন্নয়নে প্রকৃত কৃষককে প্রণোদনার উপকারভোগী নির্বাচন করা এবং শীতবস্ত্র বিতরণসহ সময়ে সময়ে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত যে কোন নাগরিক সেবা/সুবিধা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা দিনরাত অক্লান্ত কাজ করে থাকেন। এসব কেবল তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি বলেই সম্বব।

স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, সম্প্রতি সরকার ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ করবে মর্মে বিভিন্ন খবর প্রচারে নাগরিকদের উদ্বিগ্নতা বাড়ছে। সাধারণ মানুষ মনে করে ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দিলে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত সকল প্রকার নাগরিক সেবার মান মুখ থুবড়ে পড়বে। শান্তি শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা সর্বদা সরকারের নির্দেশ নির্দেশনা মেনে সরকারের সহযোগি হিসেবে কাজ করার জন্য বদ্বপরিকর। ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা স্ব-স্ব অবস্থান থেকে বৈষম্যবিরোধী ও মেধা ভিত্তিক গণতান্ত্রিক মানবিক রাষ্ট্রগঠনে সরকারের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। সকল জনপ্রতিনিধি কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে স্বীয় দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন সেই সকল জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করাকে সাধুবাই জানাই। স্বারখলিপিতে চেয়ারম্যান -মেম্বাররা অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্ঠার কাছে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদ পর্যন্ত বহার রাখার দাবি জানিয়েছেন।