ঢাকা ০৮:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লন্ডন যাওয়া হলো না সদ্য বিবাহিত সাংবাদিক তুরাবের

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৩:৪৯:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪
  • ১০ পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

২০

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি : সিলেট  বিয়ানীবাজার পৌরসভার ফতেহপুর গ্রাম থেকে বেড়ে উঠা সাংবাদিক এটি এম তুরাব মফস্বল থেকে হয়েছেন জাতীয় পত্রিকার ব্যুরো প্রধান এতো অর্জন এর এতো সফলতার মধ্যে সদ্য বিবাহিত তুরাবের সহধর্মিণী যুক্তরাজ্য প্রবাসী হওয়ার ফলে খুব জলদি দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাসের কথা ছিল। তবে সব স্বপ্ন ভেঙে গেলো এক অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে। গত শনিবার সিলেটে কোর্ট পয়েন্টে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তরুণ টগবগে এই সাংবাদিকের মৃত্যুতে এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া সহকর্মী থেকে শুরু করে উপজেলার সর্ব মহল শোকে কাতর হয়ে আছেন। কান্নায় ভারী হয়ে আছে বাড়ির চারপাশ।

 

সিনিয়র সাংবাদিক এম হাসানুল হক উজ্জ্বল বলেন, তুরাবের পিতা বিয়ানীবাজার প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শিক্ষক আব্দুর রহিম আমার হাতে তুরাবকে তুলে দিয়ে বলেছিলেন তুরাবকে যেন দেখে রাখি। পেশাগত দায়িত্ব পালনে তুরাবের মধ্যে কোনো অলসতা ছিল না। তার এমন মৃত্যু কখনোই কাম্য ছিল না।

 

সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ বলেন, তুরাব আমাদের বিয়ানীবাজার টাইমসের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছে বেশ কয়েকদিন। কাজের দক্ষতা আর মুখ ভরে ভাই ডাকা তুরাবকে এভাবে হারাতে হবে কখনোই ভাবিনি। তুরাব আহত হওয়ার পর প্রথম ফোন পেয়ে উজ্জ্বল ভাইয়ের মাধ্যমে তার বাড়িতে খবর পৌছাই। এমন মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজ হতবাক।

 

এদিকে তুরাবের গ্রামের বাড়ি ফতেহপুরের আকাশে বাতাসে বইছে শোক। অত্যন্ত সদালাপী ও পরিশ্রমী সাংবাদিকের এমন মৃত্যুতে হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে সকলের। তার সহপাঠী টিপু রানা বলেন, বন্যার সময় যখন তুরাব বাড়িতে ছিল প্রতিদিন বলতো চাচা চলো বন্যার পানি দেখে আসে এইতো সেদিন! এমন অপ্রত্যাশিত মৃত্যু এখনো মেনে নিতে পারছিনা।

 

যুক্তরাজ্য যাওয়ার আগে সব শেষ সহধর্মিণীকে নিয়ে নেপাল এবং ভারত ভ্রমণ শেষ করে সহধর্মিণীকে বিলেতে বিদায় দিয়ে নিজে মেহেদির রঙ শুকানোর আগেই চির বিদায় নিলেন।

 

উল্লেখ্য, এটিএম তুরাব বিয়ানীবাজার প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শিক্ষক আব্দুর রহিমের কনিষ্ঠ পুত্র। বিয়ানীবাজারে চ্যানেল এস বাংলা টিভি সহ দৈনিক জালালাবাদের প্রতিনিধি হিসেবে পেশাগত সাংবাদিক শুরু করেন পরবর্তীতে গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের সংবাদ পত্রিকায় কাজ করা সহ দৈনিক জালালাবাদের স্ট্যাফ রিপোর্টার এবং নয়া দিগন্তের ব্যুরো চিফ হিসেবে কাজ করেন।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন দিবস উদযাপিত: সমন্বিত পুনর্বাসনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা

Follow for More!

লন্ডন যাওয়া হলো না সদ্য বিবাহিত সাংবাদিক তুরাবের

প্রকাশিত: ০৩:৪৯:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪
২০

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি : সিলেট  বিয়ানীবাজার পৌরসভার ফতেহপুর গ্রাম থেকে বেড়ে উঠা সাংবাদিক এটি এম তুরাব মফস্বল থেকে হয়েছেন জাতীয় পত্রিকার ব্যুরো প্রধান এতো অর্জন এর এতো সফলতার মধ্যে সদ্য বিবাহিত তুরাবের সহধর্মিণী যুক্তরাজ্য প্রবাসী হওয়ার ফলে খুব জলদি দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাসের কথা ছিল। তবে সব স্বপ্ন ভেঙে গেলো এক অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে। গত শনিবার সিলেটে কোর্ট পয়েন্টে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তরুণ টগবগে এই সাংবাদিকের মৃত্যুতে এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া সহকর্মী থেকে শুরু করে উপজেলার সর্ব মহল শোকে কাতর হয়ে আছেন। কান্নায় ভারী হয়ে আছে বাড়ির চারপাশ।

 

সিনিয়র সাংবাদিক এম হাসানুল হক উজ্জ্বল বলেন, তুরাবের পিতা বিয়ানীবাজার প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শিক্ষক আব্দুর রহিম আমার হাতে তুরাবকে তুলে দিয়ে বলেছিলেন তুরাবকে যেন দেখে রাখি। পেশাগত দায়িত্ব পালনে তুরাবের মধ্যে কোনো অলসতা ছিল না। তার এমন মৃত্যু কখনোই কাম্য ছিল না।

 

সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ বলেন, তুরাব আমাদের বিয়ানীবাজার টাইমসের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছে বেশ কয়েকদিন। কাজের দক্ষতা আর মুখ ভরে ভাই ডাকা তুরাবকে এভাবে হারাতে হবে কখনোই ভাবিনি। তুরাব আহত হওয়ার পর প্রথম ফোন পেয়ে উজ্জ্বল ভাইয়ের মাধ্যমে তার বাড়িতে খবর পৌছাই। এমন মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজ হতবাক।

 

এদিকে তুরাবের গ্রামের বাড়ি ফতেহপুরের আকাশে বাতাসে বইছে শোক। অত্যন্ত সদালাপী ও পরিশ্রমী সাংবাদিকের এমন মৃত্যুতে হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে সকলের। তার সহপাঠী টিপু রানা বলেন, বন্যার সময় যখন তুরাব বাড়িতে ছিল প্রতিদিন বলতো চাচা চলো বন্যার পানি দেখে আসে এইতো সেদিন! এমন অপ্রত্যাশিত মৃত্যু এখনো মেনে নিতে পারছিনা।

 

যুক্তরাজ্য যাওয়ার আগে সব শেষ সহধর্মিণীকে নিয়ে নেপাল এবং ভারত ভ্রমণ শেষ করে সহধর্মিণীকে বিলেতে বিদায় দিয়ে নিজে মেহেদির রঙ শুকানোর আগেই চির বিদায় নিলেন।

 

উল্লেখ্য, এটিএম তুরাব বিয়ানীবাজার প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শিক্ষক আব্দুর রহিমের কনিষ্ঠ পুত্র। বিয়ানীবাজারে চ্যানেল এস বাংলা টিভি সহ দৈনিক জালালাবাদের প্রতিনিধি হিসেবে পেশাগত সাংবাদিক শুরু করেন পরবর্তীতে গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের সংবাদ পত্রিকায় কাজ করা সহ দৈনিক জালালাবাদের স্ট্যাফ রিপোর্টার এবং নয়া দিগন্তের ব্যুরো চিফ হিসেবে কাজ করেন।