ঢাকা ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টিসিবির ডিলার হালনাগাদে লাগছে এমপির ডিও লেটার

  • Channel Jainta News 24
  • প্রকাশিত: ০৯:৩৭:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
  • ৮ পড়া হয়েছে
১৩

অনলাইন ডেস্ক: সারাদেশে ডিলারদের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি করে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। সংস্থাটির তথ্য বলছে, ২০১৮ সালে সারা দেশে তাদের ডিলারের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৮২১ জন। প্রতিবছর এসব ডিলারদের লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়।

 

গত ৩ জুলাই সংস্থাটির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: মোস্তফা ইকবালের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ডিলারদের হালনাগাদ তালিকা প্রেরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এবার ডিলারদের হালনাগাদ তথ্যের সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটার সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ ডিলারদের অনেকেই।

 

এ বিষয়ে একাধিক ডিলারের সঙ্গে কথা বলেছে দেশ রূপান্তর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিলাররা বলেন, এর আগে কখনো ডিও লেটার চাওয়া হয়নি। ডিও লেটার না দিলে নাকি লাইসেন্স নবায়ন হবে না। এখন সবার পক্ষে তো আর ডিও লেটার ম্যানেজ করা সম্ভব না। সবার পক্ষে তো আর মন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব না। তাদের কী হবে?

 

এদিকে ডিও লেটার বাধ্যতামূলক করে দলীয়করণ ও দুর্নীতির দরজা খুলে দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। তাঁরা বলছেন, প্রায়শই ডিলারদের দুর্নীতির তথ্য সামনে আসছে। ডিও লেটার বাধ্যতামূলক হওয়ায় দলীয় পদধারী রাজনীতিবিদরা অগ্রাধিকার পাবেন। এক্ষেত্রে বঞ্চিত হবে ব্যবসয়ীরা। রাজনীতিবিদরা ডিলারশিপ পেলে সেখান থেকে সর্বোচ্চ মুনাফা পাওয়ার চেষ্টা করবে। ফলে সাধারণ মানুষ ন্যায্য দামে ভালো পণ্য থেকে বঞ্চিত হবে বলে মনে করেন তাঁরা।

ট্যাগ:

কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনি কমেন্ট করতে ইচ্ছুক?

সাংবাদিকদের তথ্য
ডেস্ক নিউজ

ডেস্ক নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

ধনী দেশগুলো প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে— মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

Follow for More!

টিসিবির ডিলার হালনাগাদে লাগছে এমপির ডিও লেটার

প্রকাশিত: ০৯:৩৭:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
১৩

অনলাইন ডেস্ক: সারাদেশে ডিলারদের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি করে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। সংস্থাটির তথ্য বলছে, ২০১৮ সালে সারা দেশে তাদের ডিলারের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৮২১ জন। প্রতিবছর এসব ডিলারদের লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়।

 

গত ৩ জুলাই সংস্থাটির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: মোস্তফা ইকবালের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ডিলারদের হালনাগাদ তালিকা প্রেরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এবার ডিলারদের হালনাগাদ তথ্যের সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটার সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ ডিলারদের অনেকেই।

 

এ বিষয়ে একাধিক ডিলারের সঙ্গে কথা বলেছে দেশ রূপান্তর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিলাররা বলেন, এর আগে কখনো ডিও লেটার চাওয়া হয়নি। ডিও লেটার না দিলে নাকি লাইসেন্স নবায়ন হবে না। এখন সবার পক্ষে তো আর ডিও লেটার ম্যানেজ করা সম্ভব না। সবার পক্ষে তো আর মন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব না। তাদের কী হবে?

 

এদিকে ডিও লেটার বাধ্যতামূলক করে দলীয়করণ ও দুর্নীতির দরজা খুলে দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। তাঁরা বলছেন, প্রায়শই ডিলারদের দুর্নীতির তথ্য সামনে আসছে। ডিও লেটার বাধ্যতামূলক হওয়ায় দলীয় পদধারী রাজনীতিবিদরা অগ্রাধিকার পাবেন। এক্ষেত্রে বঞ্চিত হবে ব্যবসয়ীরা। রাজনীতিবিদরা ডিলারশিপ পেলে সেখান থেকে সর্বোচ্চ মুনাফা পাওয়ার চেষ্টা করবে। ফলে সাধারণ মানুষ ন্যায্য দামে ভালো পণ্য থেকে বঞ্চিত হবে বলে মনে করেন তাঁরা।